Wednesday, September 10, 2025

১০ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫

 দিন দিন আমি একটু ছন্নছাড়া বোধ করছি। নিজের উপর হতাশও হয়ে যাচ্ছি। কেন হচ্ছি সেটাই বোঝার চেষ্টা করছি। আজ আমার জন্মদিন ছিলো। আম্মা খুব এক্সাইটেড থাকে আমার জন্মদিনের দিন। ১২টা পর্যন্ত বসে থাকে উইশ করার জন্য। নিজে হাটতে পারে না ঠিক মতো কিন্তু ঠিকই আমাকে না জানায় শার্ট কিনে নিয়ে আসবে। এবারও এনেছে। কেক কিনতে চাওয়ার সময় আমি স্ট্রিক্টলি মানা করে দিলাম যে কেক কেনার দরকার নাই। আমার ভিতরে দুইটা আত্মা থাকে খুব সম্ভবত।  একটা হচ্ছে ছোট আত্মা, সেই ছোট আত্মা যে।ছোট বেলা থেকে কখনো কিছু পেয়ে আসে নাই। কখনো কিছু কেনার ইচ্ছা হলে টাকার অভাবের কারণে আম্মাকে বলা হয় নাই। আমার জন্মদিন খুব বড় করে করা কখনো হয় নাই। ছোট আত্মাটা যখনই এসব দেখে কখনো কাউকে এইরকম সেলিব্রেট করতে তখন একটা হাহাকার তৈরি হয়। ইশ। আমার জন্মদিন যদি এমন হতো। তখন বাধ সাধে আমার ভেতর থাকা "সব হারানো" আত্মা। যে সব হারিয়ে ক্লান্ত হয়ে এখন আর কোনো কিছুর আশা করে না। এই আত্মার কোনো ফিলিংস নাই, এই আত্মার জন্য আমাকে উইশ কেউ না করতে পারে সেজন্য আমি এগুলো হাইড করে রাখি। কেউ উইশ না করতে ভেতরে থাকা এক আত্মা মন খারাপ করলেও আরেক আত্মা বলে উঠে "তুই হ্যাপিনেস ডিসার্ভ করিস না"

যাই হোক, বাচ্চাদের মতো আজকে দিনশেষে গুনলাম কতজন উইশ করেছে। ৬ জন। নাম্বারটা খারাপ না এর মধ্যে ১-২ জনের মনে থাকার কথা ছিলো না যদিনা কয়েকদিন আগেই এই বিষয়ে কথা না হতো। যদিও এগুলা নিয়ে আপাতত মন খারাপ হচ্ছে না। হাইড করে রাখলে অবশ্যই মানুষের তো আর আমার জন্মদিন মুখস্ত করে বসে থাকবে না। ৬জনই বা কম কিসে।

এই জীবনের পরিবর্তনের জন্য একটা সময় নামাজ পড়ে অনেক কান্নাকাটি করেছি। এখন আর করি না। উপরওয়ালার উপর রাগ বলেন, অভিমান বলেন অথবা "শুনবেই তো না সুতরাং চেয়ে লাভ কি" এই চিন্তা বলেন। এইটাই এখন আমার জীবন। ওইযে দুনিয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস "যা হয়েছে, হচ্ছে এবং হবে সেটা মেনে নেওয়া" 

Thursday, August 21, 2025

আত্মজীবন - ০৩

এক ধরণের অস্থিরতা কাজ করতেছে কয়েকদিন ধরে। কি বিষয়ে সেটা নিয়ে আমার ধারণা নাই।  আমার সিক্সথ সেন্স খুব ভালো। ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় যাকে বলে। আমার ধারণা অনেক ভালো। আমার আশেপাশের মানুষ কি মনে করে জানি না। আমার সিক্সথ সেন্স বলছে কিছু একটা আমার আশেপাশে ঘটছে যেটা আমার জন্য খুব ভালো খবর না। হয়তো আমি বুঝতে পারছি কি হচ্ছে, হয়তো পারছি না। বাট কি করার? 

আজকে আমার এক কলিগ বলছিলো, দিন শেষে বাসায় যাওয়ার পর কেউ একজন থাকা উচিত যাকে সব কিছু বলা যায়। আমি অনেকক্ষন চুপ করে থাকলাম। আমার বলার কেউ নাই। বলার কেউ নেই থেকে বড় কথা আমি বলতে চাই না। গত কয়েকবছরে আমার একটা ধারণা হয়েছে আমি কারো বিরক্তির কারণ হইতে চাই না। আর এই ভয়ের কারণে হয়তো কাউকে কোনো কিছু বলাও হয় না। কথা জমতে জমতে মানুষ নাকি বোবা হয়ে যায়? হয়ে তো গেছি মনে হয়।

ভাগ্যিস এই সাইটটা ছিলো, এখানে এসে মনের বকবক লিখি। কয়েকজন এখানে নিয়মিত আসে পড়ার জন্য। আমার খুব জানার ইচ্ছা হয় এই কয়েকজন কারা। আপনাদের কি খাইয়া দাইয়া কাজ নাই পাগলের বকবক পড়েন? তাও আবার প্রতিদিন? 

ইদানিং মিনারের "কেউ কথা রাখেনি" গানটা অনেক শোনা হয়। এত সুন্দর গান আমার এতোদিন শোনা হয় নাই। অনেক আগে একজনকে বলেছিলাম "গান আর ভিডিও গেমের কারণেই এতোদিন বেচে থাকতে পারছি" না থাকলে কি করতাম? গান, বই আর ভিডিও গেম এগুলা আমার সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু। এতো বছরেও কেউ ছাইড়া যায় নাই। গানের সাথে মিলায় আবার মনে কইরেন না কেউ ছেড়ে গেছে দেখে খুব উদাস হয়ে আছি। এরকম কোনো কাহিনি না। গানটা সুন্দর সেজন্য। 

যাই হোক সামনে আরেকটা ডুব মারার সময় চলে আসছে। 

Monday, August 11, 2025

অনুভুতি বনাম বাস্তবতা

 আজকে অনেকদিন পর আমি যে অনুভুতিলেস মানুষে পরিণত হয়েছি তার আরো একবার প্রমান পেলাম।  আমার এক ক্লোজ ফ্রেন্ডের টেক্সট। 

- তোর সাথে কথা আছে

- কি রিলেটেড

- ঘুমায় যাইস না। একটা কাজ করতেছি। করে ফোন দিচ্ছি।

- বলতো কি রিলেটেড, ঘুমায় যাইতেও পারি। চোখ অফ হয়ে আসতেছে

- ভাই! আমি কাদতেছি

একটু হকচকিয়ে গেলাম। 

- আছি আমি, আয় তুই।

৫-১০ মিনিট পরে বন্ধুর ফোন, ফোন রিসিভ করার পর বাচ্চা মানুষের মতো কাদা শুরু করলো। আমি এইসবে খুব একটা অভ্যস্ত না। এইরকম ভাবে আমি শেষ কাদছিলাম ৭ বছর আগে। যখন আমি আমার জানের চেয়ে প্রিয় মানুষকে হারাই। সো স্বভাবতই ভিতরটা গুমরে উঠলো।

- কি হইছে

ধরা যাক আমার বন্ধুটার নাম নিলয়। 

নিলয় বাচ্চাদের মতো কেদেই চলতেছে।

- আরে বাল, বলবি তো কি হইছে?

- তোর রিয়ার (ছদ্দনাম) কথা মনে আছে?

নামটা পরিচিত,কিন্তু মনে করতে একটু সময় লাগলো।

- এটা কি ওই (একটা) ইউনিভার্সিটির না?

- হ্যা

- কি হইছে?

- ও আমার সাথে চিট করছে, ওর আরেকজনের সাথেও রিলেশন আছে। আমি মাত্র জানতে পারলাম।

কেউ একজন তার মন থেকে কাউকে পছন্দ করলে ওর এতটা খারাপ লাগবেই এই সিচুয়েশনে। লাগাটাই খুব স্বাভাবিক। কিন্তু আমি যে অনুভুতি শুন্য আমার কাছে এই রিজনে এভাবে কান্না করাটা খুবই বেখাপ্পা লাগলো। কোনো।মতে নিজেকে এই কোয়েশ্চন করা থেকে বিরত থাকলাম "যে এটা কোনো কান্না করার রিজন হইলো?" 

মনোযোগ দিয়ে কথাগুলো শুনলাম। আমার বন্ধুর মনটা খুবই নরম। জানালো ৩ বছর ধরে এই মেয়েকে পছন্দ করে, বিদেশ পর্যন্ত যায় নাই ওই মেয়ের জন্যই। আজকে জানতে পারলো ওই মেয়ে আরেকজনের সাথে রিলেশনে ছিলো।

আমার জীবনের গল্পে এগুলোর জন্য কোনো খারাপ লাগা নাই। সুতরাং ওকে স্বান্তনা দেওয়ার জন্য আমি খুবই খারাপ একটা চয়েস। ইমোশনাল মোমেন্টে বাস্তবতা নিয়ে কথা বলা যায় না। কারণ বাস্তবতা বুঝলে মানুষ কখনো ইমোশনাল হয় না। আর ইমোশনাল হলে কেউ বাস্তবতা বুঝতে চায় না। 

আমার জীবনে কিছু রুল আছে যেটা আমি কখনো ভাঙিনা।আমি কাউকে আমার লাইফে থাকার জন্য জোর করি নাই। করি নাই বলতে করি নাই। বুক ফেটে গেলেও বলি নাই। আমার সাইকোলজি এভাবে কাজ করে, "আমি চেষ্টা করবো মানুষকে রাখার, সর্বোচ্চ চেষ্টা। কিন্তু তারপরেও কেউ থাকবে কিনা আমার লাইফে সেটা তার ব্যাপার। আমরা জোর করে কাউকে রাখতে পারি না। যে চলে যাওয়ার সে এমনেই যাবে আর যে থাকার সে এমনেই থাকবে" 

যে জিনিস আমরা করতে পারি সেটা হলো মেনে নেওয়া। কেন হইলো, আমার সাথেই কেনো হইলো এগুলো সারাজীবনের প্রশ্ন।  এগুলো যদি করি, করতে করতেই জীবন পার হয়ে যাবে। কপালে নাই মানে নাই, এটা এক্সেপ্ট করে এগিয়ে যাওয়া। বুক ফেটে গেলেও তাকে আর কিছু না বলা। আমার সাইকোলজির সাথে সবার মিলবে না সেটাও সত্য। কিন্তু আমার সাইকোলজি আমারই।

আমি আমার সাইকোলজি বোঝানোর চেষ্টা করলাম না। কান্না করা ব্যক্তিকে বাস্তবতা বোঝাতে হয় না।

অনেকে হয়তো মনে করতে পারে, ৭ বছর আগে হারানো প্রিয় মানুষটা কে? 

আমার ভাই।


১০ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫

 দিন দিন আমি একটু ছন্নছাড়া বোধ করছি। নিজের উপর হতাশও হয়ে যাচ্ছি। কেন হচ্ছি সেটাই বোঝার চেষ্টা করছি। আজ আমার জন্মদিন ছিলো। আম্মা খুব এক্সাইটে...